আয়াতুল কুরসি: পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত, জানুন ফজিলত ও পাঠের উপকারিতা

???? আয়াতুল কুরসি: পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত, জানুন ফজিলত ও পাঠের উপকারিতা ????
প্রকাশের তারিখ: ২৯ জুন ২০২৫ ✍️ রিপোর্টার: ইসলামিক ডেস্ক --
- ???? আয়াতুল কুরসি – পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত আয়াতুল কুরসি কুরআনুল কারিমের সূরা আল-বাকারা (আয়াত ২৫৫)-এর অংশ। এটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী আয়াত, যা মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই আয়াতের মাঝে আল্লাহর সত্তা, তাঁর গুণাবলি ও শক্তির বর্ণনা রয়েছে, যা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানকে দৃঢ় করে তোলে। ---
- ???? আয়াতুল কুরসি (আরবি পাঠ) اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ ---
- ???? বাংলা অনুবাদ আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই; তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক ও সংরক্ষক। তাঁকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে এমন আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে এবং তাদের পেছনে আছে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, তবে তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন। তাঁর ‘কুরসি’ (সিংহাসন) আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী পরিব্যাপ্ত করে আছে, এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি পরম উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন, মহান। --
- - ???? আয়াতুল কুরসির ফজিলত হাদিসে নববী (সঃ)-তে আয়াতুল কুরসির অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত তুলে ধরা হলো:
- ✅ ১. জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম: রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, তার মৃত্যুর সময় ও জান্নাতের মধ্যে কেবল মৃত্যু বাধা হয়ে থাকবে।” — (নাসাঈ, হাদীস: ১০৯)
- ✅ ২. ঘরকে শয়তান থেকে হেফাজত করে: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, শয়তান স্বীকার করেছিল, “যদি তুমি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করো, তাহলে সারারাত আল্লাহ তোমার রক্ষক নিযুক্ত করবেন এবং শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।” — (বুখারী: ৫০০৯)
- ✅ ৩. দোয়ার কবুলের দরজা খুলে দেয়: আয়াতুল কুরসি পড়ার মাধ্যমে একজন বান্দা আল্লাহর অসীম শক্তি ও জ্ঞানকে স্বীকার করে। এটি একজন মুমিনের জন্য দোয়া কবুলের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। ---
- ???? কখন আয়াতুল কুরসি পড়া উত্তম? প্রতি ফরজ নামাজের পরে ঘুমানোর আগে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় ভয়ের সময় বা যেকোনো বিপদে সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরে ---
- ???? উপসংহার আয়াতুল কুরসি শুধুমাত্র একটি আয়াত নয়, বরং এটি একটি ঢাল, একটি সুরক্ষা কবচ, যা আল্লাহর অসীম ক্ষমতার স্বীকৃতি দেয়। প্রতিদিন নিয়মিত এই আয়াতটি পাঠ করা একজন মুসলমানের জন্য রূহানী শান্তি, নিরাপত্তা এবং আখেরাতের সফলতার চাবিকাঠি হতে পারে। --- ???? আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন আয়াতুল কুরসি – ঈমানের শক্তি ও সুরক্ষা লাভের জন্য। ---