ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত দীর্ঘ ইতিহাস

ও জটিলতায় ভরা। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে ২০২৩ সালে, এই সংঘাত নতুন মাত্রা লাভ করে, যা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে "অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড" নামে একটি বৃহৎ আক্রমণ শুরু করে। এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল তাদের "অপারেশন আয়রন সোর্ড" নামে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এই সংঘাতটি ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর সবচেয়ে বিস্তৃত ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়। সংঘাতের সূত্রপাত ও কারণ: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বৃদ্ধি, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, এবং পূর্ব জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে উত্তেজনা এই সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। হামাস এই ঘটনাগুলোকে তাদের আক্রমণের ন্যায্যতা হিসেবে উল্লেখ করে। সংঘাতের মাত্রা ও প্রভাব: আক্রমণের প্রথম দিনেই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা ও স্থলপথে অনুপ্রবেশ ঘটে, যার ফলে শতাধিক ইসরায়েলি নিহত হয়। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায়, যেখানে আবাসিক ভবন, মসজিদ ও হাসপাতাল সহ বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফিলিস্তিনি সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন দিনে ৯০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যার মধ্যে ২৬০ জন শিশু ছিল। মানবিক সংকট: সংঘাতের ফলে গাজার প্রায় ২,০০,০০০ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়, যা মানবিক সংকটের সৃষ্টি করে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংঘাতের তীব্র নিন্দা জানায় এবং শান্তির আহ্বান করে। তবে, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জটিলতার কারণে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনও দূরবর্তী লক্ষ্য। উপসংহার: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত একটি গভীর ও জটিল সমস্যা, যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। আন্তর্জাতিক সমর্থন ও উদ্যোগ সত্ত্বেও, এই সংঘাতের সমাধান এখনও অনিশ্চিত। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা অপরিহার্য।