ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত নারীর দাফন ও কবর সংক্রান্ত বিধান

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত নারীর দাফন ও কবর সংক্রান্ত বিধান

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত নারীর দাফন ও কবর সংক্রান্ত বিধান

 মৃত নারীর লাশ দেখার অনুমতি: ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, কোনো নারী মারা গেলে তার লাশ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি দেখতে পারে। তারা হলেন:৷৷৷               ১. স্বামী 

2. মাহরাম আত্মীয়রা (যেমন পিতা, পুত্র, ভাই, চাচা, মামা)

 ৩. নারী আত্মীয় ও মহিলা গোসলদাতা অপরিচিত পুরুষদের জন্য মৃত নারীর লাশ দেখা বা স্পর্শ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

 কবরে রাখার পর মুনকার-নকীরের প্রশ্ন: মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার পর দুই ফেরেশতা মুনকার ও নকীর এসে প্রশ্ন করেন:

১. তোমার প্রভু কে? (من ربك؟)

২. তোমার ধর্ম কী? (ما دينك؟)

 ৩. তোমার নবী কে? (من نبيك؟) যে ব্যক্তি দুনিয়াতে ঈমানের উপর থাকে, সে সহজেই উত্তর দিতে পারবে। আর যারা কাফির বা মুনাফিক ছিল, তারা জবাব দিতে ব্যর্থ হবে। মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পৌঁছানোর আমল: মৃত ব্যক্তির কবরের সওয়াব পৌঁছানোর জন্য কিছু কার্যক্রম করা যায়, যেমন:

১. দোয়া করা (বিশেষ করে সন্তানদের দোয়া বেশি কার্যকর)

২. সাদাকাহ বা দান-খয়রাত করা

৩. মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন তেলাওয়াত করা

৪. হজ বা ওমরাহ আদায় করে তার নামে ইসালে সওয়াব করা

৫. জ্ঞান বা ইসলামিক বই দান করা, যাতে মানুষ উপকৃত হয়

কিয়ামতের ময়দানে মৃত ব্যক্তির উত্থান: কিয়ামতের দিন সবাইকে তার আমল অনুযায়ী উঠানো হবে। যারা ঈমানদার, তাদের চেহারা উজ্জ্বল থাকবে, আর যারা গুনাহগার, তারা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকবে। কুরআনে বলা হয়েছে: "কিছু মুখমণ্ডল সেদিন উজ্জ্বল হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আর কিছু মুখমণ্ডল সেদিন বিমর্ষ হবে।" (সূরা আল-কিয়ামাহ: ২২-২৪) তৎপর, প্রতিটি ব্যক্তি তার আমলনামা হাতে পাবে—নেককাররা ডান হাতে, আর পাপীরা বাঁ হাতে বা পেছন থেকে।

 উপসংহার: মৃত্যুর পরের জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়াতে সৎ আমল করলেই পরকালীন জীবন সুন্দর হবে। তাই আমাদের উচিত, ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা, যেন মৃত্যু ও কবরের জীবনে শান্তি লাভ করা যায়। (সংগ্রহ ও সম্পাদনা: ইসলামিক নিউজ ডেস্ক)