ডোপ টেস্টের নামে মেডিকেল বাণিজ্য।

ডোপ টেস্টের নামে মেডিকেল বাণিজ্য।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে ডোপ টেস্ট প্রয়োজন হয়। 

ডোপ টেস্টের নামে মেডিকেল বাণিজ্য। ডোপ  টেস্ট করতে হলে বি আর টি এর  নির্ধারিত কিছু মেডিকেলে যেতে হয় , সেখানে গেলেই কোন কোন মেডিকেলে  ৯১০ টাকা, কোন কোন মেডিকেলে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। 

এখন আবার নতুন ভোগান্তি চালকদের।

এই অসহায় পেশাদার চালকরা লাইসেন্স রিনিউ কিংবা নতুন করতে গেলে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেখান থেকে  ভোটার আইডি করা হয়েছে  ওই এলাকার সরকারি মেডিকেল থেকে  ডোপ টেস্ট করতে হবে। 

একজন পেশাদার চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন কিংবা রিনিউ করতে গেলে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট প্রয়োজন হয়,

আসেন মূল কথায়, যে চালক নেশা সেবন করেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কথা না, কিন্তু সেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে, কারণ কোন ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত হলে ওই ব্যক্তি একটানা দুই মাস ডাবের পানি, ওর ছেলাইন , লেবুর শরবত খেলে তার শরীরে কোন প্রকার নেশার সিন্টম থাকে না। তাহলে ওই চালক অনাসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবে কোন প্রকার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া লাগে না,

,মূল কথা হলো ওই ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে আবার নেশা শুরু করে দেয় এবং গাড়ি চালানোর সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।

 তাহলে প্রশ্ন ? এই ডোপ টেস্টের কোন প্রয়োজন আছে কি?

সহজ সমাধান আমরা কিছুই করি না প্রশাসন থেকে শুরু করে বি আর টি এর কর্মকর্তা কেউই এ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না।

 সড়কে অহরহ বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা, এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ নেশা দেবো ব্যবহার করা,,,কিন্তু আমরা সহজ উপায় কেউই অবলম্বন করতে চাই না,,

বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় চেক পোস্ট ট্রাফিক সিগনালে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা চাল করা হয়

এর সাথে সাথে যদি মাদকদ্রব্য নেশা চেক করার কাঠি দিয়ে প্রতিটি চালকে কে গাড়ির কাগজের মত চেক করা হয়, তাহার শরীরে নেশা সিমটম ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে, তাহলে ওই চালকরা নেশার মতন ভয়ংকর মাদকদ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকতো। 

 সড়ক দুর্ঘটনার মতন আত্মঘাতী মৃত্যু কমে যেত ,যাত্রী নির্দ্বিধায় সড়কের চলাচল করতে পারতো ,

এখন প্রতিটি মানুষই আতঙ্কে থাকে কখন যেন সড়ক দুর্ঘটনায় একটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়, জীবনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। 

 উত্তরাতে একটি  ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের পরিচালক কাজী মেহেদী হাসানের এর সাথে কথা বললে  এ বিষয়ে একটি সমাধান কথা বলেন। 

প্রত্যেকটি বাস স্টপেজে এই মাদক দ্রব্য চেক করার ভূত বসালে প্রত্যেকটি চালককে চেকের আওতাভুক্ত করলে আশা করা জয় কোন চালকেই এই ধরনের নেশা আসক্ত হবে না।কারণ ওই চালকের মনে ভয় থাকবে যে নেশা করলে তার চাকরি চলে যাবে বা অর্থ জরিমানা দিতে হবে। 

তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। এবং বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।