বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: হযরত ঈসা (আ.) – তাঁর জীবনী ও পুনরায় আগমনের প্রতিশ্রুতি

বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: হযরত ঈসা (আ.) – তাঁর জীবনী ও পুনরায় আগমনের প্রতিশ্রুতি

 ???? বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: হযরত ঈসা (আ.) – তাঁর জীবনী ও পুনরায় আগমনের প্রতিশ্রুতি 

০৯ জুলাই ২০২৫ ✍️ প্রতিবেদক: ইসলামী ইতিহাস ডেস্ক ঢাকা: 

বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও সম্মানিত ব্যক্তি হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম)। ইসলাম ধর্মমতে, তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন মহামানব এবং সম্মানিত রাসূল। তাঁর জন্ম, জীবনযাপন এবং ভবিষ্যতে পৃথিবীতে পুনরায় আগমনের ঘোষণা ইসলামি বিশ্বাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ---

???? জন্ম ও বংশ পরিচয় হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম একটি অলৌকিক ঘটনা। মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি মা হযরত মরিয়ম (আ.)-এর গর্ভে পিতা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহর কুদরতে হযরত জিবরাঈল (আ.) মরিয়মের নিকট এসে এই অলৌকিক বার্তা প্রদান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: > “তিনি (আল্লাহ) বলেন, 'ব্যাপারটি এমন নয়! তোমার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ’। আমি এটা করব, যাতে আমি তাকে মানুষের জন্য নিদর্শন এবং আমার পক্ষ থেকে এক দয়া হিসেবে করি। এটা এক নির্ধারিত বিষয়।”???? (সূরা মারইয়াম, আয়াত ২১) ---

???? নবুয়ত ও শিক্ষা হযরত ঈসা (আ.) মানুষকে তাওহীদ তথা এক আল্লাহর উপাসনার শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি ইনজিল কিতাব লাভ করেন এবং বনী ইসরাঈলের মধ্যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেন। তিনি রোগ নিরাময়, মৃতকে জীবিত করা, অন্ধকে চোখ ফিরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছায়। ---

✝️ ক্রুশবিদ্ধ হওয়া – ইসলাম ও খ্রিষ্টান মতপার্থক্য খ্রিষ্টান ধর্মমতে, হযরত ঈসা (আ.) ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং পরে পুনরুত্থিত হন। কিন্তু ইসলাম বলে ভিন্ন কথা। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ক্রুশবিদ্ধ হননি বরং আল্লাহ তাঁকে জীবিত অবস্থায় আকাশে তুলে নিয়েছেন। > “তারা তাকে হত্যা করে নাই, এবং তাকে শূলীবিদ্ধ করে নাই, বরং তাদের জন্য বিষয়টি সন্দেহজনক করে তোলা হয়েছে... বরং আল্লাহ তাঁকে নিজ দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন।” ???? (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৫৭-১৫৮) ---

⏳ হযরত ঈসার (আ.) আবার আগমন ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামতের পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) দুনিয়াতে পুনরায় আগমন করবেন। তখন তিনি দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন, খ্রিষ্টান ধর্মের ভুল সংশোধন করবেন এবং সত্য দ্বীনের প্রতি আহ্বান জানাবেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: > “আসন্ন কিয়ামতের পূর্বে তোমাদের মাঝে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ.) নাযিল হবেন। তিনি ন্যায়বিচার সহকারে শাসন করবেন...” ???? (সহিহ বুখারি, হাদিস ৩৪৪৮) ---

???? হযরত ঈসার (আ.) পুনরাগমন: বর্তমান বিশ্বের আলোচ্য বিষয় বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে, বিশেষ করে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও বিভিন্ন ইসলামী আন্দোলনে হযরত ঈসার (আ.) আগমনের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশ্বাস করা হয়, তাঁর আগমন মানবতার জন্য মুক্তির বার্তা নিয়ে আসবে। ---

???? উপসংহার: হযরত ঈসা (আ.) ইসলামী ইতিহাসের এক মহান নবী, যাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও বিশ্ববাসীর জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর পুনরায় আগমনের বিশ্বাস মুসলমানদের ইমানের অংশ এবং কিয়ামতের বড় নিদর্শনগুলোর একটি।

???? পরবর্তী প্রতিবেদন: হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমনের নিদর্শনসমূহ ও দাজ্জালের ঘটনা – শিগগিরই আসছে... ---

???? তথ্যসূত্র: পবিত্র কুরআন সহিহ হাদিস (বুখারি, মুসলিম) ইসলামী স্কলারদের বক্তব্য।