সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযান: এক রাতেই শতাধিক ছিনতাইকারী আটক

, ৬ মার্চ ২০২৫: রাজধানীতে ছিনতাই ও অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে বিশেষ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এক রাতেই শতাধিক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। বুধবার গভীর রাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ব্যস্ত এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের বিবরণ রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, মহাখালী, মিরপুর, সদরঘাট, বিমানবন্দর সড়ক, ফার্মগেট, গাবতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই ছিনতাইকারীদের সক্রিয়তার জন্য কুখ্যাত। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও ডিবি যৌথভাবে বিশেষ অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে রাতভর শহরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, "অভিযান পরিচালনার সময় অনেক ছিনতাইকারী হাতে-নাতে ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, আগ্নেয়াস্ত্র, মোটরসাইকেল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।" সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, "রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসাধারণ যেন রাতের বেলা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।" আটককৃতদের পরিচয় ও পরবর্তী ব্যবস্থা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরনো অপরাধী, যাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকেই নতুন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রের মূলহোতাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া নগরবাসী সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে ছিনতাই চরম আকার ধারণ করেছিল। বিশেষ করে রাতের বেলা বাস-স্ট্যান্ড, ওভারব্রিজ ও ফাঁকা রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। একজন পথচারী বলেন, "প্রতিদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনতে শুনতে আতঙ্কে থাকতাম। এখন যদি সত্যিই এসব অপরাধী ধরা পড়ে, তাহলে আমরা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারব।" উপসংহার এই সফল অভিযানের মাধ্যমে রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে সাধারণ জনগণ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে এবং ঢাকা শহর নিরাপদ হয়।